ডায়ানাকে ‘শয্যাসঙ্গিনী’ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!

0
' করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!

প্রিন্সেস ডায়ানা যেন আজও চিরন্তন সৌন্দর্যের এক অনন্য নাম। মৃত্যুও যাঁর মহিমা ম্লান করতে পারেনি।

আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কত পুরুষ যে তাঁর সৌন্দর্যের সামনে নতজানু হন, তার ইয়ত্তা নেই। আর সেই তালিকায় ওপরের সারিতেই রয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। যদিও তখন তিনি প্রেসিডেন্টের আসনে বসেননি। তবে তখনও এখনকার মতোই ধনকুবের ছিলেন ট্রাম্প।

১৯৯৭ সালে একটি রেডিও অনুষ্ঠানে তাঁর মনের এই অবদমিত ইচ্ছের কথা নিজেই জানিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। পরে ট্রাম্পের দেওয়া রেডিও সাক্ষাৎকারের একটি অংশ ২০০০ সালে ‘মিরর’এ প্রকাশিত হয়। যেখানে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ রয়্যাল লেডি ডায়ানার কোনো আপত্তি না থাকলে তাকে ‘শয্যাসঙ্গিনী’ করতে দ্বিধা ছিল না তাঁরও।

প্রখ্যাত মার্কিন রেডিও ব্যক্তিত্ব হোয়ার্ড স্ট্রেইনকে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই রেডিও-সাক্ষাৎকারের রেকর্ডিং সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই সাক্ষাৎকারেই মনের বাসনাটি প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। ডায়নার যে সৌন্দর্যে বিশ্ব মোহিত, তাতে ট্রাম্পের মতো পুরুষও যে ঘায়েল হবেন তা বলার আক্ষেপ রাখে না। তবে সেই সাধ পূরণ হয়নি বলে ডায়ানার মৃত্যুর পর ঘনিষ্ট বন্ধুবান্ধবদের কাছে এটাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের চোখে সবচেয়ে ‘হট’ নারী কারা? ওই শো-এ উপস্থাপকের সঙ্গে এই নিয়েই আলোচনা চলছিল। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের তালিকায় সবার উপরে ছিলেন তাঁর বর্তমান স্ত্রী এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এরপরে ট্রাম্প রেখেছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ইভানাকে। আর এই তালিকার তৃতীয় স্থান ট্রাম্প দিয়েছেন ডায়ানাকে। ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর চেহারা, ত্বক, উচ্চতা আমাকে আকর্ষণ করে। তিনি একজন সুপারমডেল। ‘

তবে শুধু এই সাক্ষাৎকারে নয়, প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে তিনি যে মুগ্ধ তা ট্রাম্প অকাতরে জানিয়েছেন তাঁর বই, ‘দি আর্ট অব দ্য কামব্যাক’-এ। ডায়ানার মৃত্যুর তিন মাস পরে প্রকাশিত হয়েছিল এই বইটি। তাতে রয়েছে, ‘‘মানুষকে এক নিমেষে মুগ্ধ করে দেওয়ার কী ক্ষমতা ছিল তাঁর, তা আমি দেখেছি। তিনি এলেই গোটা ঘর আলোয় ভরে উঠত। এমনই তাঁর জাদু। তিনি প্রকৃত প্রিন্সেস— স্বপ্নের নারী। ’’

বইয়ে কিছুটা মার্জিত হয়ে কথা বললেও রেডিও শো-এ ট্রাম্প ইচ্ছার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘‘বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্য তাঁকে এইচআইভি টেস্ট করাতে বলতাম!’’

বাস্তব জীবনে ট্রাম্প এবং ডায়ানার বিভিন্ন সময়ে দেখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯৫ সালে ম্যানহাটনের হিলটন হোটেলে এক নৈশভোজে তো তাঁরা এক টেবিলেই বসেছিলেন। তবে ধনকুবের ট্রাম্প যতই ডায়ানার গুণমুগ্ধ হোন না কেন সাবেক প্রিন্সেস তাঁকে নিয়ে কোনো উৎসাহ দেখিয়েছেন, এমনটা দেখা যায় না। ২০১৫ সালে একটি ব্রিটিশ চ্যানেলের উপস্থাপক সেলিনা স্কট দাবি করেন, যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরেই কেনসিংটন প্যালেস (ডায়ানা সেখানেই থাকতেন) বিরাট ফুলের তোড়ায় ভরিয়ে দেন ট্রাম্প! সেই তোড়ার এক একটি ফুলের দামই ছিল একশো পাউন্ড!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *