বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের কারণে ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আগামী ১৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে আদালতের পেশকার তানভীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে আসামি সাফাত আহমেদ, গাড়িচালক বিল্লল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর জন্য জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে দেয়।
এর আগে, মামলার পাঁচ আসামি আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’-এর কর্মকর্তা আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি সাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে গত ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়। আসামিদের গ্রেফতার করলে মামলার আসামি গাড়িচালক বিল্লাল ছাড়া বাকি চার আসামিই নিজেদের দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিচারকের কাছে ঘটনার জবানবন্দি দেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে আসামিরা মামলার বাদী ও তার বান্ধবী এবং বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার পরে বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে রুমে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে আসামি সাফাত আহমেদ ও বাদীর বান্ধবীকে আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন এবং বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করেন।