হানিপ্রীতকে গ্রেফতারে বিলম্বের জেরে ভারত জুড়ে বিতর্ক
জোড়া ধর্ষণ মামলায় পালক পিতা ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই পালিয়ে বেড়িয়েছেন হানিপ্রীত ইনসান। হানিপ্রীত ইনসান ৩৮ দিন পালিয়ে থাকতে সক্ষম হন।
কেন তাকে গ্রেফতার করতে এত সময় লাগল, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিতর্কে জড়ালেন ভারতের পাঞ্জাব ও হারিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীরা।
হারিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর গোটা ঘটনায় পাঞ্জাব পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘হানিপ্রীত যে তাদের রাজ্যেই লুকিয়ে, সেই তথ্য পাঞ্জাব পুলিশের কাছে ছিল। সেটা হারিয়ানা পুলিশকে আরও আগে দিলে ভাল হতো। ’’
বিজেপি নেতা খট্টরের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা সমালোচনায় ফেটে পড়েন পাঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং। তিনি বলেন, ‘‘হারিয়ানায় আইন-শৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। সে দিক থেকে জনতার নজর ঘোরাতেই এ সব বলছেন হারিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। ’’
অমরেন্দ্র আরও বলেন, ‘‘নিজের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত খট্টরের। পঞ্চকুলায় রাম রহিমের শুনানির আগে থেকে পঞ্জাব পুলিশ নিয়মিত হারিয়ানাকে নানা খবর দিয়েছে। কিন্তু হারিয়ানা সরকার ও পুলিশ সেই সব সূত্র থেকে কোনও কাজের কাজ করে উঠতে পারেনি। ’’
এদিকে দুই মুখ্যমন্ত্রীর তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই রাতভর দু’দফায় হানিপ্রীতকে জেরা করেছে হারিয়ানা পুলিশ। পঞ্চকুলায় হিংসা ছড়ানো ও রাম রহিমকে নিয়ে পালানোর ছক কষা নিয়ে তাকে মোট ৪০টি প্রশ্ন করা হয়। সূত্রের খবর, ১৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন হানিপ্রীত। ২৭টি প্রশ্নের উত্তর ছিল বিভ্রান্তিকর। তবে হানিপ্রীতের নার্কো পরীক্ষা করানোর জন্য কোর্টের অনুমতি চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।